How Chittagong came to be

How Chittagong came to be

Bengali Title

চট্টগ্রামের নামকরণের কিংবদন্তি

Category
Bengal Legend

English

In ancient times, most of the present-day region of Chittagong was covered in dense forests. Apart from a few nomadic tribes there weren't any large human settlements in the area. This presented a golden opportunity for Sufi preachers who were looking for new areas to settle. One particular Sufi saint named Hazrat Badar Shah was fascinated with this prospect and wanted to explore the banks of the Karnaphuli river. His followers warned him of the rumors of deadly creatures of both natural and supernatural origins that lurked in the area. But Badr Shah was undeterred. He stepped on a large stone and using his mystical powers, commanded it to float in the water and take him on a voyage through the river.

As the daylight began to fade and darkness engulfed the forest, Badr Shah started to suspect that he was being followed. But being a man of faith, he remained assured that the Almighty would never lead him to harm. He decided to stop for the night and climbed up a hill to set up his camp. In the middle of the night, a group of men wearing white robes stormed in to his tent, abducted him, and took him to their leader. Except, these were no ordinary men, they were from the local tribe of Jinns. And their leader was none other than the Jinn Badshah himself.

"Who are you?", exclaimed the king of the Jinns. "Your Majesty, I am Badr Shah of Arabia and I have come to settle in these lands." The king became furious at this audacious response. "Silence, this forest is the dominion of Jinns. Humans are not welcome here." Seeing the king's fury, the saint backed off and said, "I apologize for trespassing. Would you be kind enough to provide me a place to sleep for the night? I have traveled a long way and I would appreciate a little bit of mercy." The Jinn Badshah wanted to further humiliate his prisoner. He said, "Fine, I will allow you to stay for one night. But you may only occupy as much space as is illuminated by a single lamp." Badr Shah abided and walked to the edge of the cliff, took out a clay lamp from his bag and set it alight. At that moment, a bright light illuminated the entire mountain. The light rays were so powerful that it melted off the skin of the Jinn and burned off the wings of the Poris. Not being able to tolerate the divine light, the entire tribe of Jinn immediately vacated the area and left the forest in haste. It is said that the light of Badr Shah's lamp could be seen from dozens of kilometers away. Out of curiosity, a group of people approached the hills and upon hearing about the departure of the Jinn, they found the courage to establish the first village in the area.

The locals used the word "Chati" (চাটি) to refer to a clay lamp. Therefore the first village came to be known as Chatigram (চাটিগ্রাম). Over time, this name evolved to its current form "Chottogram" (চট্টগ্রাম).

বাংলা

প্রাচীনকালে বর্তমান চট্টগ্রামের অধিকাংশ অঞ্চল ঘন বনে আবৃত ছিল। কয়েকটি যাযাবর উপজাতি ছাড়া ওই এলাকায় কোনো বড় মানব বসতি ছিল না। যারা বসতির জন্য নতুন এলাকা খুঁজছিলেন সেসব সুফি প্রচারকদের জন্য এটি ছিলো একটি সুবর্ণ সুযোগ সেখানে বসতি স্থাপনের। হযরত বদর শাহ নামে একজন সুফি সাধক এই কথা মাথায় রেখে কর্ণফুলী নদীর তীর ঘুরে দেখতে চেয়েছিলেন। তার অনুসারীরা তাকে এই অঞ্চলে লুকিয়ে থাকা প্রাকৃতিক এবং অতিপ্রাকৃত উভয় ধরনের ভয়ংকর সব প্রাণীর গল্প সম্পর্কে সতর্ক করেছিল। কিন্তু বদর শাহ তাদের কথায় কান দেন নি। তখন তিনি একটি বড় পাথরের উপর পা রাখেন এবং তার জাদুশক্তি ব্যবহার করলে এটি জলে ভাসতে থাকে এবং সেই পাথরের উপর ভর করে তিনি নদী পার হন।

আস্তে আস্তে সন্ধ্যা নামতে শুরু করে, তখন বদর শাহ- এর মনে সন্দেহ জাগে যে তাকে অনুসরণ করা হচ্ছে। কিন্তু একজন বিশ্বাসী মানুষ হবার কারণে, তিনি নিশ্চিত ছিলেন যে আল্লাহ তাকে কখনই ক্ষতির দিকে নিয়ে যাবেন না। তিনি সেখানে রাতে থামার সিদ্ধান্ত নেন এবং একটি পাহাড়ে উঠে তার তাঁবু স্থাপন করেন। মাঝরাতে, সাদা পোশাক পরা একদল লোক তার তাঁবুতে প্রবেশ করে, তাকে অপহরণ করে এবং তাকে তাদের নেতার কাছে নিয়ে যায়। আসলে এরা কোন সাধারণ মানুষ ছিল না, তারা ছিল স্থানীয় অশরীরী জ্বীন। আর তাদের নেতা ছিলেন স্বয়ং জ্বীন বাদশা।

"তুমি কে?",- চিৎকার করে বলল জ্বীনদের রাজা। "মহারাজ, আমি আরবের বদর শাহ এবং আমি এই দেশে বসতি স্থাপন করতে এসেছি।" এই দুঃসাহসী জবাবে রাজা ক্ষিপ্ত হয়ে উঠলেন। "চুপচাপ এখান থেকে চলে যাও, এই বন হলো জ্বীনদের আধিপত্য। এখানে মানুষকে স্বাগত জানানো হয় না।" রাজার ক্রোধ দেখে সাধু পিছু হটলেন এবং বললেন, "আমি বিনা অনুমতিতে প্রবেশের জন্য ক্ষমাপ্রার্থী। আপনি কি আমাকে শুধু আজকের রাত টা এখানে ঘুমাতে দিবেন(বিনীত সুরে বললেন)? আমি অনেক দূর দেশ থেকে ভ্রমণ করে এসেছি এবং এখন বড়ই ক্লান্ত। আপনার এই দয়ার আমি চিরকাল প্রশংসা করব। " জ্বীন বাদশা তার বন্দীকে আরও অপমান করতে চেয়েছিল কিন্তু তিনি বললেন, "ঠিক আছে, আমি তোমাকে এক রাত থাকার অনুমতি দিচ্ছি। কিন্তু তুমি কেবল একটি প্রদীপ জ্বালিয়ে সেই আলোকিত স্থানে ঘুমাতে পারবে।" বদর শাহ তখন পাহাড়ের কিনারায় চলে গেলেন। তার ব্যাগ থেকে একটি মাটির প্রদীপ বের করে জ্বালিয়ে দিলেন। সেই মুহুর্তে, সেই একটি মাটির প্রদীপের এতো আলো হয় যে, সমগ্র পর্বতকেই আলোকিত করে ফেলে। আলোক রশ্মি এতই শক্তিশালী ছিল যে তা দ্বারা জ্বীনের চামড়া গলে যায় পরিদের ডানা পুড়ে যায়। ঐশ্বরিক আলো সহ্য করতে না পেরে সমগ্র জ্বীন গোত্র তৎক্ষণাৎ এলাকা ছেড়ে বনে চলে যায়। কথিত আছে, বদর শাহের প্রদীপের আলো কয়েক শত কিলোমিটার দূর থেকে দেখা যেত। কৌতূহলের বশবর্তী হয়ে একদল লোক পাহাড়ের কাছে আসে এবং জ্বীন চলে যাওয়ার খবর পেয়ে তারা এই এলাকায় প্রথম গ্রাম প্রতিষ্ঠার সাহস পায়।

স্থানীয়রা একটি মাটির প্রদীপ বোঝাতে "চাটি" (চাটি) শব্দটি ব্যবহার করে। তাই প্রথমে গ্রামটি চাটিগ্রাম (চাটিগ্রাম) নামে পরিচিতি লাভ করে। সময়ের সাথে সাথে, এই নামটি তার বর্তমান রূপ "চট্টগ্রাম" (চট্টগ্রাম) এ পরিণত হয়েছে।