এক দেশে ছিল এক অদ্ভুত শাহজাদী। নাম তার জৈগুন। জৈগুনের রূপ দেখে আশপাশের সবার চোখ ঝলসে যেত। বাবা-মায়ের বহু আদরে, চল্লিশ সখী নিয়ে জৈগুন বড় হতে থাকে। তার যখন বয়স দশ বছর, তখন জৈগুনের পালোয়ানি শেখার শখ হলো। কিন্তু শাহজাদীদের তো আর কুস্তিগিরি শেখায় না, তাই তাকে নিতে হলো পুরুষের বেশ। লুকিয়ে লুকিয়ে পুরুষের বেশে জৈগুন পালোয়ানি শেখে, ঘোড়সওয়ারি করে। গায়ে তার জোরও ছিল অনেক। চাইলেই মস্ত বড় হাতির শূঁড় ধরে আছড়ে মারতে পারতো জৈগুন।
সে যে কখন মহলে আসে, কখন মহল থেকে বেরিয়ে বন-জঙ্গলে শিকারে চলে যায়, কেউ ঠাওর করতে পারে না। এমনই বুদ্ধি ছিল জৈগুনের। এভাবেই শিকার, পালোয়ানি আর ঘোড়সওয়ারির মতো কাজকর্মে কেটে যায় আরো দশ বছর। এমন সময় বাদশার নজর পড়লো মেয়ের উপর। বেগমকে ডেকে তিনি জৈগুনের বিয়ের আলাপ তুললেন। কিন্তু জৈগুন তখন জুড়ে দিলো এক আশ্চর্য শর্ত–
“আমার সাথে লড়িয়া যে আমায় হারাইবে–
সেই পারিবে জিতিতে আমাকে।”
শুধু তাই নয়, যারা জৈগুনের সাথে লড়াইয়ে পারবে না, তাদের সবাইকেই তার গোলাম হয়ে থাকতে হবে, নয়তো জৈগুন তাদের হত্যায় পিছপা হবে না।
এমনতর কথাও কি কোনো শাহজাদীর মুখে মানায়? বাদশাহ ভীষণ চিন্তায় পড়ে গেলেন। কিন্তু মেয়েকে খুব ভালোবাসেন, তার কথাও তো ফেলা যায় না। তাই তিনি আশেপাশের সব মুল্লুকে খবর করে দিলেন। এরপর আর দেখে কে! শাহজাদাদের ভিড় লেগে গেল এরেম শহরে। বিশাল বিশাল সব পালোয়ানি শরীর নিয়ে একেকজন এলেন, সাথে লোক-লস্কর তো আছেই। উদ্দেশ্য একটাই– জৈগুনকে জয় করা।
এত লোকজন দেখে বাদশা-বেগম ঘাবড়ে গেলেও জৈগুন তার কথা থেকে এক চুলও নড়লো না। সে তার চল্লিশ দাসী নিয়ে তৈরি হলো যুদ্ধের সাজে। ময়দানে যখন সে নামলো, তখন অনেকেরই ভয়ে বুক কাঁপলো। তবু নিজের ইজ্জত বাঁচাতে অনেকেই থেকে গেল, বাকিরা চুপি চুপি কেটে পড়লো। এরপর শুরু হলো একে একে সকলের সাথে লড়াই। অনেকে প্রাণে মরলো, বাকিরা পালিয়ে বাঁচলো। জৈগুনের সামনে কেউই বেশিক্ষণ টিকতে পারলো না। এদের মধ্যে কয়েকজনকে ধরে এনে জৈগুন গোলাম করে রাখলো, কাউকে কাউকে দয়া করে ছেড়েও দিলো। মুহূর্তের মধ্যে যুদ্ধের ময়দান হলো লন্ডভন্ড। জৈগুনই হাসলো বিজয়ীর হাসি।
এখন আর জৈগুনকে কেউ শিকারে যাওয়া থেকে আটকায় না।তবে সে বেরোলে পুরুষের বেশেই যায়, পাছে লোকে তাকে মেয়ে ভেবে ঝামেলা করে। একদিন জৈগুন শিকারে গেল জঙ্গলে, সেখানে তার দেখা হয় আবু হানিফার সাথে। এও আরেক শিকারী। নিজের এলাকায় অন্য শিকারীকে দেখে জৈগুন খেপে গেল, সে আবু হানিফাকে হুমকি দিল– যাতে এক্ষুনি তার জঙ্গল থেকে বেরিয়ে যায়। কিন্তু আবু হানিফা অন্যদের মতো ঠকলো না। সে বুঝতে পারলো, জৈগুন কোনো পুরুষ নয়, এরেমের শাহজাদী।
কথায় কথায় দুজনের মধ্যে লড়াই বেঁধে গেলো। আবু হানিফা অবশ্য কোনো নারীর সাথে লড়তে চাইল না। জৈগুন একাই বেশ কিছুক্ষণ লড়তে থাকলো এবং লড়াইয়ের এক পর্যায়ে হানিফা ইচ্ছে করে নিজের দম বন্ধ করে রাখলো। তার উপর ছিল খোদার হাত। এই কেরামতি অবশ্য জৈগুন বুঝতে পারলো না। সে জয়ের আনন্দে হানিফার দুই ভাই– জাফর ও আহমদকে বন্দী করে নিয়ে চললো। তাদের আরেক সঙ্গী মকবেল পালোয়ান পালিয়ে বাঁচলো।
“লড়িতে বিবির সাথে কেহ নাহি পারে,
হানিফারে মারিয়াছে বিবি শাহজাদী।”
হানিফা তিন দিন তিন রাত দানাপানি ছাড়াই পড়ে থাকলো পাহাড়ের নিচে। ওদিকে পাহাড়ের চিপায় লুকিয়ে ছিল মকবেল। সবাই চলে গেলে সে হানিফার উপর খেয়াল রাখলো। তিনদিন পর যখন বুঝলো, আশেপাশে আর কোনো বিপদ নেই, তখন সে হানিফাকে নিয়ে চললো বাড়ির পথে।
কিন্তু বাড়িতে গিয়েও লজ্জায় মুখ দেখাতে পারলো না হানিফা। এমনকি তার নিজের মা হনুফা বিবিই তাকে খুব কটু কথায় অপমান করলেন–
“মোর্ত্তজা আলীর বেটা আবু হানিফ
জাহানে আছে যাহার তারিফ
জোরে না আটিলে তুমি আওরাতের সাথে
কেমনে খাইলে মার আওরাতে হাতে”
মায়ের কাছে এমন কথা শুনে হানিফা আর বাড়িতে টিকতে পারলো না। রাত পার হবার আগেই ঘর ছেড়ে বেরিয়ে গেল। ওদিকে পরের দিন হনুফা বিবি ছেলেকে না পেয়ে আফসোসে পড়লেন। ছেলেকে খুঁজতে তিনি বেরিয়ে গেলেন মর্দ্দানা লেবাসে। ঘোড়ায় চড়ে। এমন জোরে ঘোড়া ছুটলো যে হানিফার আগেই তিনি পৌঁছে গেলেন এরেম শহরে। সেই সময়েই জৈগুন বিবি শিকারে গিয়েছিল। ঘোড়ার খুরের আওয়াজ শুনে তার মাথায় রাগ চড়ে গেল– কার এত বড় সাহস, তার এলাকায় এত জোরে ঘোড়া ছুটিয়ে আসে? কে এমন যোদ্ধা? এমন অবস্থায় দুই বিবিতে লেগে যায় বিশাল যুদ্ধ। এতেও অবশ্য জৈগুনেরই জয় হয়। হনুফা পড়ে থাকেন মাটিতে। মায়ের এমন অবস্থা দেখে হানিফার মাথার ঠিক থাকে না। তার সঙ্গে জৈগুনের আরেক ভয়ানক লড়াই বাঁধে।
“তেগ বাজি সনাসন, নেজাবাজি ঠনঠন
তার পরে গোর্জ্জের লড়াই।।
গদাবাজি করে দোন, বিজলি কড়কে যেন।
শোনা যায় আওয়াজ তেয়ছাই।।”
এমন লড়াইয়ের পর জৈগুনের সকল অস্ত্র, পালোয়ানি কিছুই আর কাজে লাগে না। আবু হানিফারই জয় হয়। পরবর্তীতে দুজনের মধ্যে সন্ধি হয়। জৈগুনকে হানিফা বিয়ে করতে চায় এবং তাকে নিয়ে হানিফা মদিনার পথে রওয়ানা হয়। যদিও হানিফার মা, মানে হনুফা বিবির জৈগুনের উপর রাগ থেকেই যায়। শত হোক, তাকে ঘোড়ার উপর থেকে ফেলে দিয়েছিল জৈগুন!
জৈগুনের উপর বিশ্বাস নেই হনুফা বিবির, তাই তার হাতে দেয়া হলো দড়ি। ওদিকে ধর্মের বাণী প্রচারে হানিফাকে যেতে হবে এরেম শহরে, তাই এখান থেকেই বিদায় নিয়ে দুই বিবিকে সে পাঠালো মদিনার পথে। কিন্তু কিছু দূর যেতে না যেতেই হাজির হলো আরেক বিপদ। ততক্ষণে তারা শুধু কোহকাফ নগরের রাস্তায় পৌঁছতে পেরেছে। এরই মধ্যে এক ভিনদেশী শাহজাদার সাথে দেখা। সেও এ পথেই যাচ্ছিল। ঘোড়ার উপর সওয়ার জৈগুনকে দেখে তার নজর থমকে গেল– যে করেই হোক, একেই বিবি করে ঘরে তুলতে চাই।
“এরেমের বাদশাহজাদী নামেতে জইগুন
তারে দেখে বাদশাজাদা হয়েছে মজনুন।”
ছেলের রেখে যাওয়া আমানত, তাকে কি অত সহজে অন্যের হাতে তুলে দেয়া যায়? তাইতো শাহজাদার সঙ্গে এইবেলা বেঁধে গেল হনুফা বিবির লড়াই। ওদিকে জৈগুনের হাত বেঁধে রাখা। তাই বাঁধা অবস্থায় তেমন কোনো সাহায্য করতে পারলো না সে।
শেষমেশ জিবরাঈলকে পাঠানো হলো বিবির সাহায্য করতে। চোখের পলক ফেলতে না ফেলতেই জিবরাঈল তাকে বাড়ি নিয়ে গেলেন। এদিক ওদিক কেটে গেছে, সারা গায়ে ক্ষত। ব্যথায় কাতর হনুফার মাথায় তখন অবশ্য একটাই চিন্তা, জৈগুন বিবির কী হলো! ওদিকে জৈগুন আর তার চল্লিশ সখীও হনুফা বিবিকেই খুঁজে বেড়াচ্ছে। কিন্তু জিবরাঈলের জাদুতে আশপাশের সব অন্ধকার হয়ে গেছে, কেউ চোখে কিছু দেখতে পারছে না।
চল্লিশ সখী মিলে জৈগুনের হাতের দড়ি খুলে দিল। এইবারে জৈগুনের সাথে পাল্লা দিতে একে একে এলো শাহজাদার তিন লক্ষ পঁয়তাল্লিশ হাজার সৈন্য। জৈগুনের কেরামতি দেখে সকলেই জান হাতে নিয়ে পালায়। যুদ্ধের ময়দানে কেউই টিকতে পারে না তার সামনে।
“তলওয়ার লইয়া হাতে
সান্ধাইল লস্করেতে
বাঘ যেন ছাগলের পালে।”
সকলেই বুঝে গেল, এর সাথে লড়ে কেউ জিততে পারবে না। সৈন্যদল, শাহজাদা সবাই জেনে গেল–
লড়িয়া বিবির সাথে, কেহ না পাইবে ফতে।
ভিনদেশী শাহজাদা এখন অন্য ফন্দি আঁটলো। যুদ্ধ কিংবা বলে না হোক, ছলে ও কৌশলে তো শাহজাদীকে পাওয়া যাবে। উজির এসে খবর দিলো, বাগানে আছে এক বুড়ি মালিনী, যে নাকি জাদুটোনা জানে। কে জানে, কপালে থাকলে জাদু দিয়েই হাসিল হবে জৈগুন বিবির মন! শাহজাদাকে নিয়ে উজির গেল মালিনীর কাছে। ধন-দৌলতের লোভে মুহূর্তের মধ্যেই মালিনী রাজি হয়ে গেল।
“জাদুটোনা যতখানি জানি আমি অভাগিনী–
তার সবই লাগাবো কাজে, জৈগুন তোমারে দিব আনি।”
এখানেও নবীজী এসে সাহায্য করলেন জৈগুনকে। মালিনীর স্বপ্নে তিনি দেখা দিলেন নূরের চেহারা নিয়ে। মালিনীকে সতর্ক করে দেয়া হলো, কোনোভাবেই যেন জৈগুনের ক্ষতি না হয়। ঘুম থেকে উঠে মালিনী বুঝতে পারলো, কী ভুলই না করতে যাচ্ছিল সে! এইবেলা ভুল শুধরে নিতে সে রওনা দিল জৈগুনের কাছে। সব খবর জানালো তাকে।
মালিনীর কাছে ছিল বিষের পুঁটুলি, তা সে গিয়ে ঢেলে দিল শাহজাদার দুধের পাত্রে। কিছুক্ষণের মধ্যেই বিষপানে মারা গেল শাহজাদা, পড়ে রইল তার লাশ।
“দুধেতে জহর আছে, না জানে খবর
খোসালে বসিয়া সাহা খাইল জহর।”
ওদিকে জৈগুন ও তার চল্লিশজন সখী বেরিয়ে গেল শাহজাদার সৈন্যদের সাথে যুদ্ধ করতে। যুদ্ধে জয়ও হলো তাদের। বাদশাহকে মদিনায় খাজনা পাঠাতে হুকুম দিয়ে জৈগুন এবারে চললো আবু হানিফার খোঁজে। যাবার পথে বাদশাহকে বলে গেল,
“দেশেতে বাদশাই কর তুমি
পাহলওয়ান হানিফার তল্লাসে যাই আমি।”
ওদিকে আবু হানিফাও খুব আরামে নেই। এরেম শহর যাবার পথে জিনেদের বাদশা জেন্দাল বাদশার রাজ্য দিয়ে যেতে হয়। পাইক-পেয়াদা নিয়ে হানিফাকে যেতে দেখে বাদশা ভাবলেন, এই বুঝি ভিনদেশী আক্রমণ করতে আসছে! তাই আগে থেকেই হানিফাকে শত্রু ঠাওরালেন। হানিফা এসবের কিছুই না জেনে বাগানে গাছের তলে বিশ্রাম নিতে গেল। হানিফার প্রাণ বাঁচালো পরিস্থানের শাহজাদী, কুয়া পরী। এই কুয়া পরীর মা-ই পরীস্থানের রানি।
এরেমে যাওয়ার আগে হানিফাকে সে যেতে বলে বাদশা এমরানের দেশে। বাদশা এমরানের দুই বোন বিশাল পালোয়ান, যেখানে সেখানে যুদ্ধ লাগিয়ে বেড়ায়। এমরান তাদের মানা করলে দুজনেই খেপে গিয়ে তাকে ঘরের মধ্যে বন্দী করে রেখেছে। ঘরের দরজার সামনে তারা রেখে দিয়েছে এক বিশাল জগদ্দল পাথর। কুয়া পরী হানিফাকে এমরান বাদশার রাজ্যে গিয়ে তাকে উদ্ধার করতে বলে। পরীর কথা শুনে এমরান বাদশার দেশে পৌঁছায় হানিফা। প্রথমেই তার দুই বোনের সাথে যুদ্ধ করে সে বাদশাকে মুক্ত করে। এরপর সবাইকে ধর্মের কথা বলে হানিফা নিজের অভিযানে বেরিয়ে পড়ে।
“এমরান বাদশার তিরে তক্ত দিয়া তাজ
কহিল ভেজিয়া দিবে মদিনায় খেরাজ।”
এইবার গন্তব্য এরেম শহর। যেখানে বাদশার তক্তে বসে আছেন জৈগুনের বাবা। ওদিকে জৈগুনও হানিফাকে খুঁজতে খুঁজতে পৌঁছে গিয়েছে এরেমে। এরেমে যাবার পথে কোকাফ নগরের পাহাড়ে দাঁড়িয়ে হানিফা বিশাল এক হাঁক ছাড়ে, যার ডাকে এরেমের বাদশা-উজির সকলে ভয়ে কাবু হয়ে যায়। শত্রুর অবস্থা বুঝতে বাদশা এক গোয়েন্দাকে পাঠান। সব হাল-হকিকত বুঝে গোয়েন্দা গিয়ে খবর দেয়, আর কেউ নয়– বাদশার নিজের মেয়েই শত্রুর সাথে দাঁড়িয়ে আছে। রাগে-দুঃখে বাদশার মন ভেঙে যায়। তিনিও লস্কর নিয়ে বেরিয়ে পড়েন শত্রুনিধনে! বিশাল এক যুদ্ধ লাগে দুই পক্ষে। যদিও হানিফার সাথে খুব একটা পেরে ওঠে না বাদশার লোকজন। দলে দলে শুধু সৈন্যই মারা পড়ে।
“কত কত পালওয়ান হোশ হারাইয়া
বেহোশ হইয়া রহে জমিনে গিরিয়া।”
যুদ্ধ করে যেহেতু কাজ হচ্ছে না, বাদশার উজির আঁটলো আরেক ফন্দি। রাতের অন্ধকারে তারা জায়গায় জায়গায় গর্ত খুঁড়ে রাখলো। আর এমনই এক গর্তে পা হড়কে পড়ে গেল হানিফা। জৈগুন শত চেষ্টা করে হানিফাকে টেনে তুললো ঠিকই, কিন্তু সে আর যুদ্ধ করার অবস্থায় ছিল না। সংকট আসন্ন, এ কথা বুঝতে পেরে জৈগুন হানিফাকে নিয়ে রেখে আসলো এমরান বাদশার দেশে। আর নিজে এসে একাই যুদ্ধে লেগে পড়লো এরেমের বাদশার সাথে। যুদ্ধের এক পর্যায়ে বাদশার বুকে তলোয়ারের আঘাত করলো তারই প্রিয় কন্যা। এরপর আর এরেমের দিকে চোখ ফিরিয়েও চাইলো না জৈগুন। লোক-লস্কর, হাতি-ঘোড়া সব নিয়ে সে এগিয়ে চললো নির্ভীক পদক্ষেপে।
জৈগুন ও হানিফা মিলে এরপর আরো বহু বাদশাহী খারিজ করে, বহু রাজ্যের লোককে ধর্মের পথে আনে। কুয়া পরী মাঝে মাঝেই হানিফাকে পরীস্থানে নিয়ে যায়, কিন্তু সেখানে তার মন টেকে না। সে বারবার ফিরে আসে জৈগুনেরই কাছে।