The legend of Komola Rani Lake

The legend of Komola Rani Lake

Bengali Title

কমলা রানীর দীঘির কিংবদন্তি

Category
Bengal Legend

English

It was the year 1580. King Suvidh Narayan ruled over the region of present-day Moulvibazar. One night, Gangadevi visited him in his dreams and asked him to dig a lake over a 12-bigha plot of land. She also left instructions to reward the first worker to dig with a gold necklace. Fearing the wrath of the Goddess, the king obliged and promptly had his men dig the lake. But alas, no matter how deep they dug, water did not come out of the ground.

At this stage, Gangadevi manifested in the king's dreams once more and demanded that his wife, Queen Komola Rani, climb down to the lakebed and offer prayers to the goddess. She also prophesized that during the prayers, water would rush to fill the lake and drown the queen. Fearing the death of the mother of his newborn child, King Suvidh kept this a secret. But Gangadevi was relentless and she managed to personally convince the queen to sacrifice herself. The next day, the prophecy played itself out. The queen offered prayers, water rushed out of the ground filling the lake and drowning her in the process. The king was devastated.

But all was not lost. That night, Queen Komola Rani appeared in the king's dream. She asked him to leave their newborn child on the lakeside every night so that she could come to breastfeed her baby. But there was a catch. The king would not be allowed to touch his wife for the next 12 years.

The king obliged and month after month he watched as the dead queen's ghost emerged from the water to breastfeed the baby. After a while, the king forgot about the warning and tried to grab his wife's saree. But the ghost promptly jumped back into the lake, disappeared and never showed up again. Since that day, one by one, all of the king's other children died under mysterious circumstances. After the last death, the king himself passed away without any heir. The whole royal bloodline was wiped out within a matter of weeks.

বাংলা

সময়টি ছিলো ১৮৫০ খ্রিষ্টাব্দ। রাজা সুবিধ নারায়ন বর্তমান মৌলভীবাজারের রাজা ছিলেন। একরাতে গঙ্গাদেবী তার স্বপ্নে এলেন এবং তাকে ১২ বিঘা জমির উপর একটি দিঘি খনন করার আদেশ দিলেন, সেই সাথে দপবি বললেন, প্রথম কোদালের কোপ দানকারীকে স্বর্নের হার উপহার দিতে। দেবীর ক্রোধ ও রাজ্যের অনিষ্ঠের কথা চিন্তা করে রাজা দিঘি খনন শুরু করলেন। কিন্তু যতোই খোড়ে পানি আর উঠে না।

এমতাবস্থায় গঙ্গাদেবী আবারো রাজার স্বপ্নে এলেন এবং বললেন, তার প্রানপ্রিয় পত্নী কমলা রানি যদি দিঘিতে নেমে গঙ্গাদেবীর পুজো করে তবেই দীঘি তে জল আসবে৷ কিন্তু এটি হলে যে নবজাতক সন্তানদের মা কমলারানী ডুবে মারা যাবেন তা ভেবে রাজা সুবিধ নারায়ন এটিকে গোপন রাখেন৷

এদিকে গঙ্গাদেবী নিজেই কমলারানীর স্বপ্নে এসে তাকে পুজো করতে রাজি করে ফেললেন। তার পরেরদিনই রানী পুজো করতে যান৷ এবং দীঘিতে তার পা পরতেই চতুর্দিক থেকে দ্রুতবেগে জল উঠা শুরু করলো এবং সে জলেই কমলা রানীর সমাধি ঘটলো।

রানীর মৃত্যুর পর রাজা যখন পাগলপ্রায়, তখন তিনি স্বপ্ন দেখলেন, রানী তাদের সন্তানদের রাতের বেলা দীঘির পাড়ে নিয়ে যেতে বলছেন যাতে তিনি সন্তানদের দুধ পান করাতে পারেন। তবে শর্ত থাকে যে ১২ বছরের আগে রাজা তাকে স্পর্শ করতে পারবেনা৷

এভাবে রাজা মাসের পর মাস বাচ্চাদের দীঘির পাড়ে নিয়ে যায় এবং দুর থেকে রানীকে দেখে। কিন্তু এভাবে আর কতো? একদিন সব শর্ত ভুলে রাজা, রানীর শাড়ির আচল ধরে ফেলেন৷ ওমনিই রানী দীঘিতে ঝাপ দিয়ে অদৃশ্য হয়ে পরেন।

ওই দিনের পর থেকেই রাজার প্রতিটি সন্তানের রহস্যজনক মৃত্যু হয়। এবং রাজা নিজেও মৃত্যুবরন করেন৷

সমস্ত রাজপরিবার নির্বংশ হলেও কালের সাক্ষী হিসেবে থেকে গেলো কমলা রানীর দিঘি