ইদুরের গর্তে দাঁত কেন ফেলা হয়
English
Once upon a time in a forested mountain area, there lived a couple without kids. Every day, the husband worked hard chopping wood in the forest, while his wife took care of their home, eagerly awaiting his return. They lived comfortably on the income from selling the wood, enjoying a peaceful life filled with joy. However, each evening they felt something was missing – a child to complete their family. Hoping for a miracle, the wife began praying daily to Mah Lakhi, a revered goddess of the Chakma people.
Their prayers didn't go unheard. Mah Lakhi, moved by their devotion, blessed them with a son. The couple was overjoyed, and their happiness grew as their son did. But a strange thing happened. The boy's baby teeth fell out and were replaced by new ones, only for those to fall out again. This worried the couple deeply, as they wondered how their son could go through life like this.
Not long after, the wife became pregnant again, and they welcomed another son. But, just like before, this child also lost his new teeth shortly after they grew in. This pattern repeated with each of their five children, leaving the couple extremely concerned. In desperation, they prayed to Mah Lakhi once more. This time, she sent a mouse with a special blessing: the children's new teeth would be as strong as a mouse's.
From that day on, it became a tradition among the Chakmas. They believed that if a child's fallen tooth was placed in a mouse's hole and a strong tooth was wished for, the new tooth that grew in would be exceptionally sturdy and healthy.
বাংলা
অনেক আগে পার্বত্য অঞ্চলের জঙ্গলে বসবাস করত এক নিঃসন্তান দম্পতি। স্বামী সারাদিন কাঠ কাটত বনে। স্ত্রী ঘরে বসে রান্নাবান্না করত আর অপেক্ষা করত কখন স্বামী ঘরে ফিরবে। স্বামী সারাদিন কাঠ কেটে যে কড়ি উপার্জন করত তা দিয়েই তাদের দিন চলে যেত। দুজনের সংসারে কোন অশান্তি ছিল না। ছিল না সুখের কোন কমতি। শুধু দিনশেষে একটা সন্তানের অভাববোধ করতো দুজনেই। তাই প্রতিদিন কাঠুরিয়ার স্ত্রী "মাহ লখি (চাকমাদের দেবী)" মায়ের কাছে প্রার্থনা করতে থাকে।
এরকম চলতে চলতে এক পর্যায়ে কাঠুরিয়ার স্ত্রীর উপর মাহ লখি মা প্রসন্ন হন। ফলে তাদের কোলজুড়ে এক পুত্র সন্তানের আবির্ভাব ঘটে। কাঠুরিয়া দম্পতি বেজায় খুশি। ছেলেকে নিয়ে বেশ সুখে দিন কেটে যায় তাদের। এর মধ্যে তাদের ছেলে খানিকটা বড় হয়ে যায়। দেখতে দেখতে ছেলেটির দুধদাঁত পড়ে ভালো দাঁত গজায়। কিন্তু কিছুদিন পরেই ছেলেটির দাঁতগুলো আবার পড়ে যায়। ব্যাপারটা নিয়ে কাঠুরিয়া দম্পতি ভীষণ দুঃশ্চিন্তাগ্রস্থ হয়ে পরে। যেহেতু তাদের একমাত্র সন্তান তাই চিন্তা হওয়াটাই স্বাভাবিক। জীবনের শুরুতেই এভাবে দাঁত হারিয়ে ফেললে সারা জীবন অতিবাহিত হবে কিভাবে?
এর মাঝেই কাঠুরিয়ার স্ত্রী আবারো সন্তান সম্ভবা হয়। কিছুদিন পর কাঠুরিয়ার কোল জুড়ে আসে আর এক পুত্র সন্তান। দিন যায়, সে বড় হয়। কিন্তু আবারও পূর্বের ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটে। প্রথমে দুধদাঁত পড়ে নতুন দাঁত গজায়, কিন্তু কিছুদিন যেতে না যেতেই সেগুলো পড়ে যায়। এভাবে পর পর পাঁচটা সন্তান হয় কাঠুরিয়ার । প্রত্যেক সন্তানের সাথে একই ঘটনা ঘটতে থাকে। এতে বড্ড বেশি দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়ে পড়ে কাঠুরিয়া আর তার স্ত্রী। শেষে আবার মাহ লখি মার কাছে প্রার্থনা শুরু করে তারা। মাহ লখি মা কিন্তু এবারও প্রসন্ন হয়। একদিন রাতে এক ইঁদুরকে নির্দেশ দেয় সব ছেলের চোয়ালে দাঁত ফিরিয়ে দিয়ে আসতে। সে দাঁত যেন ইঁদুরের দাঁতের মতোই শক্ত আর মজবুত হয়। মাহ লখি মার কথা মতো একদিন রাতের বেলা ঘুমের মধ্যে সকল ছেলের চোয়ালে ইঁদুর দাঁত বসিয়ে দিয়ে আসে।
তাই চাকমাদের মধ্যে একটা মিথ প্রচলিত রয়েছে, "দুধদাঁত পরলে সেটা যদি ইঁদুরের গর্তে ফেলে ইঁদুরের কাছে ভালো দাঁত চাওয়া হয়, তবে পরবর্তীতে যে দাঁত উঠে তা অনেক বেশি শক্ত এবং মজবুত হয়।"